বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) প্রতিষ্ঠার সময় অর্থাৎ ১৯৭০ সালে মাত্র দু’জন বিজ্ঞানী নিয়ে কীটতত্ত্ব বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। বিগত ৫০ বছরে এ বিভাগের জনবল ও কার্যপরিধি ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে এ বিভাগে ১৩ জন বিজ্ঞানী এবং ৭ জন সহায়ক কর্মী ব্রি প্রধান কার্যালয়, গাজীপুর ও বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। কীটতত্ত¡ বিভাগ ব্রি-এর বালাই ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ বিভাগের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে: বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ধান উৎপাদনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশবান্ধব, দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যকর ও টেকসই সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবন। ব্রি কীটতত্ত্ববীদগণ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ধানক্ষেতের ২৩২ ধরণের পোকা, ১৮৩ ধরণের পরজীবি ও ১৯২ ধরণের শিকারী পরভোজী প্রাণী পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে ২০ থেকে ৩৩টি পোকামাকড় বিভিন্ন বছরে, মওসুমে ও অঞ্চলে ধানের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। পোকামাকড়ের উপদ্রব ও ধান ফসলে ক্ষতির পরিমাণ মূলত ধানের মওসুম, ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়, জাত, ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও সামগ্রিক কৃষি পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। পোকামাকড়ের উপদ্রব ও আক্রমণে সাধারণভাবে ধানের বোরো মওসুমে ১৩%, আউশ মওসুমে ২৪% ও রোপা আমন মওসুমে ১৮% ফসলহানি ঘটে থাকে। কীটতত্ত¡ বিভাগ নিজস্ব গবেষণা কার্যক্রম ছাড়াও ব্রি জাত উদ্ভাবন কার্যক্রমের অগ্রসর জিনোটাইপ এবং Observational Yield Trials (OYT), Primary Yield Trials (PYT),ইত্যাদিতে অন্তর্ভুক্ত প্রজনন লাইনসমূহের কীটতাত্ত্বিক বাছাই কাজে সহায়তা প্রদান করে।