দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়ে ব্রি এবং ব্রি'র বিজ্ঞানীগণ খুবই সতর্ক ও সজাগ রয়েছে। দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতি বছরই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ২০২৫ সালে জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন এবং ধানের চাহিদা হবে বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে আরও ২৫ শতাংশ বেশি। ব্রি সেই চাহিদা মেটাতে এবং জাতিকে ক্ষুধা থেকে মুক্তি দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যেই ব্রি নিম্নলিখিত গবেষণা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
১. হেক্টর প্রতি ১২-১৪ টন ফলনক্ষম অতি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ও উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন;
২. হাইব্রিড ধানের জাতসহ এবং বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন;
৩. ট্রানজেনিক ধানের জাত উদ্ভাবন;
৪. শৈত্য, খরা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততার মতো প্রতিকূল অবস্থা সহিষ্ণু বা রোগ প্রতিরোধক্ষম জাত উদ্ভাবন;
৫. দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি উন্নয়নের জন্য অধিকতর ভিটামিন ও আয়রন সমৃদ্ধ উন্নত গুণাগুণসম্পন্ন আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন;
৬. রপ্তানিযোগ্য সরু ও সুগন্ধি ধানের জাত উদ্ভাবন;
৭. ফসল, মাটি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষতিকর পোকা দমনে প্রযুক্তির মান উন্নয়ন;
৮. ধান উৎপাদনে যান্ত্রিকায়নের লক্ষ্যে স্বল্পমূল্যের কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ;
৯. জাতীয় ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার জোরদারকরণ;
১০. ধান উৎপাদনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আর্থ-সামাজিক গবেষণা জোরদারকরণ;