Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রি'র অবদান

১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চফলনশীল ধানের জাত এবং ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে ব্রি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১১৫টি (১০৭টি ইনব্রিড ও ৮টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। কালিজিরা এবং কাটারিভোগ ধানের বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পন্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।​ গত ৫০ বছরে ধান উৎপাদন তিনগুণের বেশি বেড়েছে। ফলে ধান গবেষণায় ব্রি সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে।

ব্রির উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত বর্তমানে দেশের বোরো ধানের (শীতকালীন ধান) ৮২%, আউশের (গ্রীষ্ম কালীন) ৩৬% এবং রোপা আমনের (বর্ষাকালীন ধান) ৪৭% এলাকা চাষ হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মোট ৭৫% জমিতে ব্রি ধানের চাষ হয় এবং এর থেকে দেশের মোট ধান উৎপাদনের শতকরা ৮৫ ভাগ আসে। ব্রির উচ্চফলনশীল আধুনিক জাত প্রতি বছর ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ফলে ১৯৭০-৭১ সালে দেশে মোট উৎপাদিত ধান ১ কোটি ১০ লাখ টন হলেও ২০২২-২০২৩ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৩৮১৩৫.২১ হাজার মেট্রিক টন। ব্রি’র আধুনিক জাত ছাড়া প্রতি বছর ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ১%, যা প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের অর্ধেক। 
 
ব্রির আধুনিক জাত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ, বিশেষ করে স্বল্প ব্যয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ লাভবান হচ্ছে। এ শ্রেণীর বিশাল জনগোষ্ঠী গ্রামীণ এলাকায় এবং শহরের বস্তিতে বসবাস করে। ব্রির আধুনিক জাতের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি না থাকলে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে সরকারকে খাদ্য আমদানি করতে হতো। ব্রির আধুনিক জাতের কারণে সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণে ১ টাকা বিনিয়োগ থেকে আসে ৪৬ টাকা। ব্রির জাত এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে ধানের দাম স্থিতিশীল থাকে। সর্বোপরি ১৯৮০ সাল থেকে নিয়মিত খাদ্য শস্য আমদানি কমতে থাকে এবং ১৯৯০ সালের দিকে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি পৌছে। 

ব্রির প্রযুক্তি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় আয় এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। দেশের যেসব এলাকায় ব্রি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেসব এলাকায় অন্য এলাকার চেয়ে দারিদ্র্য হার কম। আধুনিক সেচ সুবিধা, আধুনিক জাতের ধান চাষের জমির প্রসারণে দেশের কৃষি এবং অকৃষি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে গ্রামীণ মানুষের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও পরোক্ষভাবে সার ব্যবসা, পাম্পসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি রক্ষনাবেক্ষণ সহ নানাভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ধান গবেষণা এবং ধানের জাত উদ্ভাবনে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
 
০১. জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৯৭৪
০২. রাষ্ট্রপতি স্বর্ণ পদক ১৯৭৭
০৩. স্বাধীনতা দিবস স্বর্ণ পদক ১৯৭৮
০৪. রাষ্ট্রপতি স্বর্ণ পদক ১৯৮০
০৫. এফএও ব্রোঞ্জ ফলক ১৯৮০
০৬. রাষ্ট্রপতি স্বর্ণ পদক ১৯৮৪
০৭. বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবুল্লাহ স্বর্ণ পদক ১৯৮৬
০৮. মুনিরুজ্জামান ফাউন্ডেশন স্বর্ণ পদক ১৯৯১
০৯. স্বাধীনতা দিবস স্বর্ণ পদক ১৯৯২
১০. স্বাধীনতা দিবস স্বর্ণ পদক ১৯৯৭
১১. ইরি সন্মানজনক ফলক ২০০৪
১২. সেনাধীরা পুরস্কার (ইরি) ২০০৬
১৩. ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ২০০৮
১৪. বাংলাদেশ মানবধিকার কাউন্সিল, গাজীপুর কর্তৃক প্রাপ্ত সন্মাননা ২০০৮
১৫. জাতীয় পরিবেশ পদক ২০০৯
১৬. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড পুরস্কার    ২০১৩
১৭. মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) পুরস্কার ২০১৪
১৮. কেআইবি কৃষি পদক-২০১৫  ২০১৫
১৯. জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২০ ২০১৬
২০. জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার (আইসিটি)-২০১৬  ২০১৬ 
২১. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এগ্রো এ্যাওয়ার্ড ২০১৭ ২০১৭
২২.
বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার ২০১৮
২০১৮
২৩. সেনাধীরা রাইচ রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড ২০১৮ ২০১৮
২৪। আরটিভি কৃষি পদক ২০২১ ২০২১
২৫। জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ ২০২১
২৬। একুশে পদক ২০২২ ২০২২
২৭। জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণ পদক ২০২৪