বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পৃষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে জীবপ্রযুক্তি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৮২ সালে ব্রি-তে প্রথম জীবপ্রযুক্তি গবেষণা স্বল্প পরিসরে শুরু করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ধান উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত সকল প্রকার জীবপ্রযুক্তি গবেষণার কাজ করার জন্য “বায়োজেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং ডিভিশন” নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৯৬ সালে এটিকে ”জীবপ্রযুক্তি বিভাগ” হিসাবে নতুনভাবে নামকরণ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই বিভাগে সীড কালচার, এন্থার কালচার, ইন ভিট্রো রিজেনারেশন প্রটোকল প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি সাধারণ টিস্যু কালচার জাতীয় কাজ করা হতো। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সুযোগ সুবিধাদি সম্বলিত গবেষণাগার ও গ্রীনহাউস প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ব্রি জীবপ্রযুক্তিবিদগণ তাঁদের গবেষণা কর্মকান্ড সম্প্রসারণের সুযোগ পান এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাতসহ নানা ধরণের প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন ও ধানের পুষ্টিগত গুণাগূণ উন্নয়নে জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কিত গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে এই বিভাগে অধিক ফলনশীল, বিভিন্ন ঘাত সহনশীল এবং উন্নত পুষ্টিগত গুণাগুণসম্পন্ন আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য টিস্যু কালচার, মার্কার এসিস্টেড সিলেকশন, জিন পিরামিডিং,কিউটিল আইডেন্টিফিকেশন, জিন ক্লোনিং, জেনেটিক ট্রান্সফরমেশন, জিন এডিটিং, ইত্যাদি গবেষণার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ব্রি জীবপ্রযুক্তি বিভাগ দেশের চাহিদা উপযোগী অধিক ফলনশীল ধানের বিভিন্ন জাত যেমন, ব্রি ধান৮৬,ব্রি ধান৮৭, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২ এবং ব্রি ধান৯৬ উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জীব প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান
ড. সাহানাজ সুলতানা
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
এবং প্রধান