১. ব্রি সোনাগাজী প্রতি বছর প্রায় ৩০ (ত্রিশ) মে. টন ব্রিডার ও ৩০ (ত্রিশ) মে. টন টিএলএস বীজ উৎপাদন করে যা চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলসহ দেশের চাহিদার বিরাট অংশ পূরণ করে।
২. ব্রি সোনাগাজীর উদ্যোগে ডিএই এর সহযোগিতায় অনুকুল ও প্রতিকুল উভয় পরিবেশে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ধানের ব্যাপক সম্পসারণের ফলে অত্র অঞ্চলে ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে
৩. ব্রি সোনাগাজীর উদ্যোগে নোয়াখালী সুবর্ণচরে সোলার পাম্পের পানি সেচ দিয়ে এবং মুহুরী প্রকল্পের খালের পানি সেচ দিয়ে বোরো মওসুমে পতিত জমিতে সফলভাবে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।
৪. উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ডিবলিং পদ্ধতিতে আউস ধান চাষ
লবণাক্ত চরাঞ্চলে ডিবলিং পদ্ধতিতে আউশ ধান বপন করে বীজ গজানোর ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ১ম বা ২য় বৃষ্টির সময় ডিবলিং পদ্ধতির অর্ধেক চারা তুলে সমপরিমাণ অন্য জমিতে রোপণ করলে ফলনে কোন তারতম্য হয় না। প্রযুক্তিটি বৃহত্তর নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলরে বেলে দো-আঁশ/দো-আঁশ মাটির জন্য উপযোগী।
৫. সম্পূরক সেচ প্রযুক্তিঃ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে আমন ধানে সম্পূরক সেচ ও রবি শস্য চাষ
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার হতে পারে আমন ধানে সম্পূরক সেচের উৎস। চরাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় জমির নীচুপাশে শতকরা ৫ ভাগ জমতিে ২-৩ মটিার গভীর ছোট পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ঐ পানি দয়িে আমন মওসুমে অক্টোবর-নভম্বের মাসে খরার সময়ে আমন ধানে সম্পূরক সচে দয়িে ধানরে ফলন শতকরা ১৫ হতে ২০ ভাগ বৃদ্ধি করা যায়। আমন ধানে সম্পূরক সেচ প্রদানের পর অবশিষ্ট পানি দিয়ে রবিশস্য যেমন, তরমুজ, ফলেন, মুগডাল, টমেটো, মরিচ, লাল শাক, ইত্যাদির আবাদ করে ফসলের নিবিড়তা ও জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ প্রযুক্তিটি নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য খুবই উপযোগী।