১. আধুনিক ইনব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২. অজৈব ঘাত সহনশীল (যেমনঃ বন্যা, লবণাক্ততা, খরা, শৈতপ্রবাহ, তাপদাহ, জলাবদ্ধতা, অগভীর বন্যা ইত্যাদি) সহনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৩. জৈব ঘাত সহনশীল (যেমন: রোগ-বালাই এবং পোকা-মাকড়) প্রতিরোধী আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৪. প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৫. স্বল্প জীবনকাল এবং উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৬. জাতীয় এবং আন্তজাতিক মানের উচ্চফলনশীল প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্যের ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৭. পানি এবং সার সাশ্রয়ী ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৮. মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট (জিঙ্ক, আয়রণ, বিটা-ক্যারোটিন) সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
৯. সুস্বাস্থের জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য (নিম্ন জিআই, এন্টি-অক্সিডেন্ট, গাবা) সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
১০. দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে মাস্টার্স এবং পিএইচডি-তে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্রে সুপারভাইজ করা ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা।
১১. কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারী, এনজিও কর্মীদের আধুনিক ধানের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা
১২. কৃষকের সরাসরি অংশগ্রহনে জাত নির্বাচন ও নতুন অবমুক্ত ধানের জাতের প্রদর্শনী ট্রায়াল স্থাপন করে এর চাহিদা ও প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করা এবং সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
১৩. সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে আধুনিক ধানের জাতসমূহের তথ্যাবলী প্রচার করা এবং ধানের জাতসমূহের ব্যাপারে মতামত ও পরামর্শ আদান-প্রদান করা।
১৪. বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র, বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন এবং অবমুক্ত জাতসমূহের লিফলেট ও বুলেটিন প্রকাশ করা।
১৫. আধুনিক উফশী ধান এবং খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারকে সহায়তা করা।
মওসুম ভিত্তিক আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবনের নিমিত্তে উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ কর্তৃক গৃহীত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কার্যক্রম নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
আউশ মওসুমঃ
• স্বল্প জীবনকাল (১০০ দিন) ও উচ্চফলনশীল (রোপা আউশ ৫.৫ টন/হেক্টর, বোনা আউশ ৪.০ টন/হেক্টর) বৈশিষ্ট্যসহ কর্তনপূর্ব অঙ্কুরোদগম এবং আগাছা প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
• অতি উষ্ণতা বা তীব্র তাপদাহ এবং খরা সহনশীল আধুনিক ও উফশী ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন করা।
• পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই (ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট, শীথ ব্লাইট, ব্রাউন স্পট, গান্ধি পোকা) প্রতিরোধী উফশী ধানের জাত উদ্ভাবন করা।
• স্বল্প খাদ্য উপাদান গ্রহণকারী ও স্বল্প খরচে উচ্চ ফলন দেয় এমন ধানের জাত উদ্ভাবন।
• মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
আমন মওসুমঃ
• উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা যার ফলন ক্ষমতা (৬.৫-৭.০ টন/হেক্টর)।
• স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট ধানের জাত উদ্ভাবন করা (১১০-১২০ দিন) ।
• জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সরু দানা বিশিষ্ট বা প্রিমিয়াম কোয়ালিটির উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন।
• জোয়ার-ভাটা জনিত জলাবদ্ধতা সহনশীল উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
• বিভিন্ন প্রকার ঘাত ( বন্যা: ৩ সপ্তাহ, খরা: প্রজনন পযায়ে বৃষ্টি বিহীন ২৮ দিন, লবণাক্ততা: সম্পূর্ণ জীবনকালে ১০-১২ ডিএস/মি. ইত্যাদি) সহনশীলতা সম্পন্ন আধুনিক ও উফশী ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন করা।
• গভীর পানির জলাবদ্ধতা ও অবাত অঙ্কুরোদগম সহনশীল উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
• রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড় প্রতিরোধী (ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট, শীথ ব্লাইট, ব্লাষ্ট, ব্রাউন প্লান্ট হপার, মাজরা পোকা ও নলিমাছি) আধুনিক ও উফশী ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন করা।
• স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট অগভীর বন্যা (সর্বোচ্চ ১.০ মি. বন্যার পানির গভীরতা) সহনশীল উফশী ধানের জাত উদ্ভাবন।
• মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন
বোরো মওসুমঃ
• উচ্চ ফলনশীল (১০ টন/হেক্টর) আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
• পানি সাশ্রয়ী এরোবিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
• হাওড় অঞ্চলের জন্য স্বল্প জীবনকালীন ঠান্ডা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন।
• ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক জনিত রোগ-বালাই প্রতিরোধী (ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট, ব্লাষ্ট, ব্রাউন প্লান্ট হপার) ধানের জাত উদ্ভাবন।
• সমগ্র জীবনকালে লবণাক্ততা সহনশীল (১০-১২ ডিএস/মি.) আধুনিক ও উফশী ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন করা।
• মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
• আন্তর্জাতিক মানের প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ধানের জাত উদ্ভাবন।