Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ জুন ২০২১

কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের সাফল্য

কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের বিজ্ঞানীগণ পরীক্ষণ মাঠের আদর্শিক পরিমাপ ও আকৃতি নির্ণয় করেছেন। তাছাড়াও গভীর পানির ধানের ফলন এর অনুমানের জন্য আদর্শিক পুনরাবৃত্তির সংখ্যা, পরিমাণ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সাথে ধানের রোগের পরিমাণ প্রাক্কলনের জন্য নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি নির্ণয় এবং ফলন ও ফলনের প্যারামিটার (ধ্রুবকসমূহ) নির্ণয়ের পদ্ধতি বের করা হয়েছে। ধানের বিভিন্ন জাতের স্থায়িত্ব মডেল,  ধানের উৎপাদক, ভোক্তা এবং উৎপাদক-কাম-ভোক্তার অগ্রাধিকার-ভিত্তিক মডেল উদ্ভাবন এবং ধানের উৎপাদন ও এলাকার অর্থনৈতিক মডেল ও বোরো ধানের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে নিম্ন তাপমাত্রার প্রভাব নির্ণয় করা হয়েছে। জীব বিজ্ঞানীদের জন্য “সিম্পল লেসন ফর বায়োমেট্রি” নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। পরিসংখ্যানবিদগন গবেষণা করে ফলনের উপর বিনষ্ট গোছাড় প্রভাব ও বোনা আউশের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের আদর্শিক নমুনার পরিমান নির্ণয় করেছেন। এছাড়া, জলবায়ুর নিয়ামক এর উপর ভিত্তি করে বৃষ্টি নির্ভর ধানের ফলনের পূর্ভাবাস পদ্ধতির উন্নতিকরণ। বাংলাদেশের সব উপজেলার শস্য-বিন্যাস জরিপ করার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরিকরণ। উপরন্তু, কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সাথে গবেষণা করে সেচকৃত অগভীর নলকূপ দ্বারা ধানের জমিতে আর্সেনিক মাত্রার স্থানিক পরিবর্তনশীলতা নির্ণয় করেছেন। বর্তমানে কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ নিজস্বভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রায় ৫০০টি ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করেছে। নিম্নে কিছু উল্লেখ্যযোগ্য অর্জন দেয়া হলোঃ


১। ব্রি’র পরিসংখ্যানবিদগণ ধানের সাথে মাটি পরীক্ষার জন্য সর্বোত্তম প্লট আকৃতি ও নমুনা পরিকল্পনা উদ্ভাবন।
২। ধান ক্ষেতে রোগ মূল্যায়নে নমুনায়নের পদ্ধতি উদ্ভাবন ।
৩। জলবায়ু প্রভাবকের উপর ভিত্তি করে বৃষ্টি নির্ভর ধানের ফলনের পূর্বাভাস নির্ণয় ।
৪। বাংলাদেশে ধানের এলাকা ও উৎপাদনের আনুমানিক হিসাব নির্ণয় ।
৫। ব্রি জাতসমূহের স্থায়িত্ব পরীক্ষণের জন্য একটি স্থায়িত্ব মডেল ।
৬। আপেক্ষিক পানি সরবরাহের ভিত্তি ও বাংলাদেশে বৃষ্টি নির্ভর ধানের উৎপাদনের পরিবেশ বৈশিষ্ট্যায়ন ।
৭। স্থায়িত্ব পরীক্ষণের জন্য একটি নতুন পরিসংখ্যানিক মডেল তৈরী করতঃ এর কার্যোপযোগীতা পরীক্ষণ সূক্ষ টিউন্ড করা হয়েছে, যা সময়ের সাথে উৎপাদনের উঠা-নামা এবং বিভিন্ন স্থানের ও ফলনের উপর ভিত্তি করে স্থায়িত্বের (জেনো টাইপের) পরিমাপ করে।
৮। বোরো ধানের উৎপাদনের পরিবেশ চিহ্নিতকরণ ও বৈশিষ্ট্যকরণ।
৯। ধানের জাতের বৈশিষ্ট্যের পরীক্ষণের জন্য বহুজাতের পরিসংখ্যানিক কৌশল প্রণয়ন।
১০। মাটির ভৌত কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের পরিবেশকে ছয়টি ধান উৎপাদন পরিবেশে বৈশিষ্ট্যায়ন।
১১। ধানের জাতের উপর ভিত্তি করে উৎপাদক, ভোক্তা এবং উৎপাদক-কাম-ভোক্তার অগ্রাধিকার ভিত্তিক মডেল উদ্ভাবন।
১২। বাংলাদেশে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত আউশ, আমন ও বোরো ধানের উৎপাদনের পূর্বাভাস নির্ণয় ।
১৩। জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) সফট্ওয়্যার ব্যবহার করে বাংলাদেশে ২৩টি জেলার পানি ও মাটির আর্সেনিক মাত্রার ম্যাপ তৈরী ।
১৪। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সহিত বোরো ধানের উৎপাদনের সর্ম্পক নির্ণয়-সহ জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে বোরো ধানের উৎপাদনের এলাকা তথা বোরো ধানের উপযোগী এলাকার ম্যাপ তৈরী ।
১৫। জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে আমন ধানের উৎপাদনের উপর বৃষ্টিপাত ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব এবং রোপা আমন মৌসুমে ব্রি ধানের জাত উপযোগী এলাকা বিশ্লেষণপূর্বক বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার (সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন) কণট্যুর ম্যাপ তৈরী ।
১৬। ধান চাষের জন্য সেচকৃত জলাভূমির নির্দেশিত জায়গায় আর্সেনিক দূষিত অগভীর নলকূপের দ্বারা আর্সেনিক দূষিত মাটির স্থানিক পরিবর্তনশীলতা নির্ণয়।
১৭। বাংলাদেশে ধান, গম, ভূট্টার এলাকা ও উৎপাদনের পরিবর্তনশীলতা নির্ণয়
১৮। বাংলাদেশেরে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে পানি ও মাটির আর্সেনিক অবস্থা নিরূপণেরর জন্য নমুনা সংগ্রহের প্রোটোকল নির্ণয় ।
১৯। জলবায়ু এবং ধানের এলাকা ও উৎপাদনের তথ্য ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ।
২০। ডিজিটাইজিং, এডিটিং ও বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহের মাধ্যমে প্রায় ৫০০টি ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত।
২১। বাংলাদেশে আবহাওয়াজণিত খরা এলাকা চিহ্নিতকরণ। 
২২। বিভিন্ন পরিবেশে ব্রি’র বিভিন্ন ধানের জাতের উপর আর্সেনিকের প্রভাবের পরিমাপ নির্ণয়।
২৩। মৌজা অনুযায়ী বাংলাদেশে আউশ ধান চাষাবাদের সম্ভাব্য এলাকার ম্যাপ প্রস্তুত।
২৪। ২০২০ সালে বাংলাদেশে  বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ম্যাপ প্রস্তুত।
২৫। বাংলাদেশে  আমন ২০২০ ও বোরো ২০২০-২১ মওসুমের ধানের এলাকা ম্যাপ প্রস্তুত।
২৬। আবহাওয়ার পূর্বাভাস-ভিত্তিক ধান উৎপাদনে পরামর্শ সেবা

আইসিটি সেলঃ

১. রাইস ডক্টর, রাইস নলেজ ব্যাংক (আরকেবি) এবং মডার্ন রাইস নার্সিং মোবাইল অ্যাপস  তৈরি করা হয়েছে।

২. ব্রি সদর দপ্তর এবং সকল আঞ্চলিক কার্যালয়ে ই-নথি ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে।

৩. ব্রি ই-জিপি সিস্টেম চালু করেছে।

৪. আইসিটি কাজের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের উৎকর্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রি ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬ এ জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার-২০১৬ পেয়েছে।

৫. আধুনিক ধান ও ধান সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য দিয়ে একটি ডাইনামিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বাংলাদেশ রাইস নলেজ ব্যাংক (বিআরকেবি) তৈরি করা হয়েছে।

৬. বাংলা এবং ইংরেজি উভয় পদ্ধতিতে ব্রি দিয়ে ওয়েব পোর্টাল (www.brri.gov.bd) তৈরি করা হয়েছে।

৭. সকল বিজ্ঞানী এবং কর্মকর্তাদের জন্য ব্রি ডোমেই এ স্বতন্ত্র ই-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি কারা হয়েছে।

৮. ব্রি এর সমস্ত বিজ্ঞানী এবং কর্মকর্তাদের জন্য লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ  করা হচ্ছে।

৯. পাঁচটি আঞ্চলিক আঞ্চলিক কার্যালয়ে রংপুর, বরিশাল, সোনাগাজী, কুমিল্লা এবং হবিগঞ্জের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং চারটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে ২ (দুই) এমবিপিএস ফুল-ডুপ্লেক্স, ডেডিকেটেড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়েছে।

১০. নিজস্ব ফেসবুক গ্রুপ “ব্রি নেটওয়ার্কস” তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, ব্রি এর একটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজও রয়েছে।

১১. ব্রিতে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।এছাড়া, বিভাগ, আঞ্চলিক এবং শাখা প্রধানদের গবেষণা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য স্কাইপ অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করা হয়েছে।

১২. ব্রিতে শ্রমিক ব্যবস্থাপনার জন্য লেবার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে।

১৩. ব্রিতে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন চালু করা করেছে।

১৪. ব্রিতে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুক্তোপাঠ’ (www.muktopaath.gov.bd) চালু করা হয়েছে।

১৫. ব্রিতে ওয়েবসাইট দৃশ্যমান করার জন্য বিদ্যমান ইংরেজী ডোমেই (www.brri.gov.bd) এর  পাশাপাশি বাংলা ডোমেই (বিআরআরআই.বাংলা) নিবন্ধিত করা হয়েছে।