Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ August ২০২১

ভাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ম্যান্ডেট

 

জাত উদ্ভাবন (Varietal development):

অবাত অংকোরদগম (Anaerobic germination) ও জলাবদ্ধতা (Water stagnation) সহনশীল আমন মওসুমের আধুনিক ধানের জাত, গভীর পানির ধানের জাত এবং একক বোরো শস্য বিন্যাসের (single boro cropping pattern) উপযোগী উচ্চ ফলনশীল বোরোর জাত উদ্ভাবনের জন্য অত্র কার্যালয়ের নিজস্ব গবেষণা কর্মসূচীর আওতায় নির্বাচিত মাতৃ ও পিতৃ গাছের মধ্যে সংকরায়ণ, F1 নিশ্চিতকরণ এবং Field rapid generation advance (FRGA) পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষা (RYT) এর আওতায় বোরো মৌসুমের স্বল্প ও দীর্ঘ জীবনকালীন ধান, উচ্চমান ও গুণসম্পন্ন ধান (Premium Quality Rice) জিংক সমৃদ্ধ ধান (Zinc enriched rice), রোগ ও পোকা প্রতিরোধী ধান এবং রোপা আমন মৌসুমের ধানের মাঠ মূল্যায়ন পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। (RYT) এর প্রতিশ্রুতিশীল অগ্রসরমান সারিগুলোকে কৃষকের মাঠে ALART (Advance Line Adaptive Research Trial) নামক পরীক্ষণের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয় এবং প্রতিশ্রুতিশীল সারিগুলোকে প্রস্তাবিত জাত মূল্যায়ন (PVT, Proposed variety trial) পরীক্ষণের আওতায় জাতীয় বীজ বোর্ডের কারিগরী কমিটির এর মাধ্যমে মাঠ মূল্যায়ন করা হয় এবং উপযুক্ত প্রতিশ্রুতিশীল সারিকে জাত হিসেবে অবমুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়।

শস্য ব্যবস্থাপনা (Crop management):


ধান উৎপাদনের উপাদানসমূহ (inputs) যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধানের সার ও শস্য ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন সংক্রান্ত পরীক্ষণ অত্র কার্যালয়ের গবেষণা মাঠে সম্পাদন করা হয়।

 

ধান ভিত্তিক খামার বিন্যাস গবেষণা (Rice Farming system research):


অত্র কার্যালয়ের তত্ত্ববধানে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের উপযোগী শস্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকের মাঠে খামার ভিত্তিক গবেষণা (Farming system research) কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- পাট ভিত্তিক শস্য বিন্যাসে রিলে আমন বপনের উপযুক্ত সময় নির্ধারণ, উপযোগী আমনের জাত নির্বাচন, আমনের সার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।

সামাজিক-অর্থনৈতিক গবেষণা (Socio-economics research): 

বোরো ও আমন মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত জাতসমূহ “Stability analysis of BRRI released varieties” শীর্ষক পরীক্ষণের আওতায় মাঠ মূল্যায়ন করা হয়। ১১ টি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ ব্রি সদর দপ্তর, গাজীপুরের ফলাফলের ভিত্তিতে ব্রি উদ্ভাবিত জাতসমূহের Stability index এবং bio-physiological factors নির্ধারণ করা হয়। 

 

বীজ উৎপাদন ও বিতরণ (Seed production and distribution):

বোরো মৌসুমের মেগা জাত ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান২৯ এবং নতুন জাত ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি ধান৯২ এর প্রজনন বীজ (breeder seed)  অত্র কার্যালয়ের খামারে উৎপাদন করে ব্রি গাজীপুর সরবারহ করা হয়। এছাড়াও বোরো মৌসুমের জাত ব্রি ধান২৮, ২৯, ৫০, ৫৮, ৬৩, ৮১, ৮৪, ৮৮, ৮৯, ৯২ ইত্যাদি এবং আমন মৌসুমের স্বল্প মেয়াদী উচ্চফলনশীল জাত ব্রি ধান৩৯, ৭১, ৭২, ৭৫, ৮৭ ইত্যাদির মান ঘোষিত বীজ (TLS, Truthfully labeled seed) উৎপাদন করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে বিস্তারের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আদর্শ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ব্রি গাজীপুরস্থ হাইব্রিড রাইস বিভাগের সহযোগিতায় অত্র কার্যালয়ের খামারে বোরোর ব্রি হাইব্রিড ধান৩, ৫ এবং রোপা আমনের ব্রি হাইব্রিড ধান৪ ও ৬ এর বীজ উৎপাদন করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অন্যান্য জেলায় হাইব্রিডের বিস্তারের লক্ষ্যে বীজ বিতরণ করা হয়।

 

জাত ও প্রযুক্তির বিস্তার (Varietal and Technology Transfer):


অত্র কার্যালয়ের আওতাধীন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে ধানের নতুন নতুন উপযোগী জাত ও প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কৃষকের মাঠে প্রদর্শনী স্থাপন ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে এলাকায় কৃষকবৃন্দকে হাতে কলমে জাত ও প্রযুক্তির উপযোগিতা দেখিয়ে তা গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উফশী ধানের বৈশিষ্ট্য এবং উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে অত্র অঞ্চলের সম্প্রসারণবিদ ও কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা হয়। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদ, কৃষক সমন্বয়ে সময়োপোযোগী বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে ধান-ভিত্তিক শস্যবিন্যাসে মোট উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে জনসচেতনতা তৈরী করা হয়।