Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd জুন ২০২৪

সূচনা

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার একটি প্রধান অঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা দেশের প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদন ও জাত উন্নয়নে কাজ করছে। ঢাকা থেকে ৩৬ কিলোমিটার উত্তরে জয়দেবপুরে ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসেবে এর যাত্রা শুরু। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর এ প্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধনী) অ্যাক্ট, ১৯৯৬ এবং ব্রি অ্যাক্ট, ২০১৭ অনুযায়ী একটি (বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মহাপরিচালক এ বোর্ডের চেয়ারম্যান, যিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী। এ প্রতিষ্ঠানের ১৯টি গবেষণা বিভাগ, ১৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ০৬টি স্যাটেলাইট চ্যানেল, তিনটি সাধারণ সেবা এবং আটটি প্রশাসনিক শাখা রয়েছে। এখানে ৩০৮ জন বিজ্ঞানী/কৃষি প্রকৌশলী/ কর্মকর্তা সহ মোট জনবল রয়েছে ৭৮৬ জন। বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এমএস এবং পিএইচডিসহ উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ।


ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের পরিবেশে বৈচিত্র্য রয়েছে । দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এলাকা খরাপ্রবণ, মধ্যবর্তী এলাকা বন্যাপ্রবণ এবং উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চল লবণাক্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। বৈচিত্র্য অনুসারে তিনটি প্রধান কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে মূলত জমি, মাটি আবহাওয়া এবং জলবায়ুর তারতম্যের ভিত্তিতে। এ বৈচিত্র্য ধান উৎপাদনে ব্রি’র বিজ্ঞানীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।  নতুন ধান জাত উদ্ভাবনের গবেষক এবং উৎপাদন  অন্যান্য প্রকৌশলীরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্রি সদর দপ্তরে কাজ করছে। এ কারণে দেশের কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, ফেনীর সোনাগাজী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার এবং খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।


এ প্রতিষ্ঠানে আধুনিক গবেষণার সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রয়েছে গবেষণাগার, গ্রিন হাউজ, এবং পরীক্ষণ মাঠ। ব্রি'র রয়েছে একটি আধুনিক জার্মপ্লাজম ব্যাংক, ২০টি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার, দশটি গ্রিন হাউজ, দশটি নেট হাউজ এবং ৭৬.৮৩ একর পরীক্ষণ মাঠ ( সদর দপ্তরে )। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে আধুনিক গবেষণা সুবিধা, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্র সিরাজগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জ। 


ভিসন (রূপকল্প):

আধুনিক উফশী ধানের জাত ও উন্নততর, নিরাপদ ও লাভজনক উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশে টেকসই খাদ্যনিরাপত্তা অর্জন।


মিশন (অভিলক্ষ্য):

  • কৃষকবান্ধব টেকসই ধানের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন
  • প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জীববৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রাখা
  • প্রাগ্রসর গবেষণার মাধ্যমে নতুন ও উন্নততর, ক্রমহ্রাসমান সম্পদসাপেক্ষ জলবায়ুবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন
  • এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর ও গ্রহণ ত্বরান্বিতকরণ।