Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd August ২০১৬

মরহুম ড. শাহ মোঃ হাছানুজ্জামান

মরহুম ডঃ.শাহ মোঃ হাছানুজ্জামান ১৯২৫ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর। সেখানেই লেখা পড়া শুরু। তিনি ঢাকার মোসলেম হাইস্কুল থেকে ১৯৩৯ সালে ১ম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ফ্যাকাল্টি থেকে বিএসসি (কৃষি) এবং বিএজি পাশ করেন। অতঃপর মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের আরকানসাস স্টেট ইউনির্ভাসিটি থেকে ১৯৫৬ সালে এগ্রোনোমিতে এমএস এবং ১৯৫৮ সালে টেক্সাস এএন্ড এম কলেজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। সরাসরি ধান গবেষণার সাথে জড়িত হন ১৯৪৮ সালে, ফাস্ট ইকোনমিক বোটানি ডিভিশনে গবেষণা সহকারী হিসেবে। উচ্চ শিক্ষা লাভের পর দেশে ফিরে এসে ১৯৬২ সালে ইকোনোমিক বোটানিস্ট হিসেবে ডাল ও তেল গবেষণা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন । ১৯৬৪ সাথে তাঁকে ইকোনোমিক বোটানিস্ট (ফাইবার) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ডাল, তেল, গম, ভুট্টা, যব, জোয়ার, তুলা, পাট, র‌্যামি, ফ্লেক্স ও তামাকের উপর গবেষণা শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে EAPRRI প্রকল্প চালু হয়। ১৯৬৯ সালে তাঁকে রাইচ স্টেশালিস্ট এবং ইকোনোমিক বোটানিস্ট (সিরিয়ালের) পুরো দায়িত্ব দেয়া হয়। তাঁকে র্পূব পাকিস্তান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (EPRRI) সহযোগী পরিচালক করা হয় ১৯৭০  সালে। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (সে সময় পরিচালক বলা হতো ) কাজ শুরু করেন এবং ১৯৮৪ সালে অবসর নেন। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের লিয়াজোঁ বিজ্ঞানী হিসেবে আফ্রিকাতে কর্মরত ছিলেন ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬, এই দুই বছর। দেশে ফিরে আসার পর বাংলাদেশ সরকার তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (কৃষি) হিসেবে নিয়োজিত করে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে কাজ করেন। তিনি কৃষি কলেজের (বর্তমানে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ) সেচ্ছাসেবী শিক্ষক ছিলেন বহু বছর। তাঁর অধীনে বহু ছাত্র মার্স্টাস এবং পিএচডি সম্পন্ন করেছে। ভারতের বিশ্বউন্নয়ন সংস্থা তাঁকে ডিএসসি, কৃষি পন্ডিত, গবেষণায় অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করেন । ১৯৭৮ সালে ধান গবেষণায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা দিবস স্বর্ণ পদকে ভূষিত হন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় এমেরিটাস বিজ্ঞানী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন । এছাড়াও তিনি বহু প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছেন । দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন । তার প্রকাশিতপ্রবন্ধ, রিপোর্ট ও বই এর সংখ্যা-৮০। তিনি ০৯/১০/২০১১ইং সালে মৃত্যুবরণ করেন।